LIVE ‘ভারতের প্রতিটি ঘর থেকে তৈরি হচ্ছে মোদি ঢেউ’, মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী সভায় কংগ্রেস আমলের বিরুদ্ধে সরব প্রধানমন্ত্রী
“নতুন ভোটারদের কাছে আমার আনুরোধ, উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দাও।”
ABP News Bureau
Last Updated:
13 May 2019 06:40 PM
‘এবার আর মোদি হাওয়া নেই’। ২০১৪ সালে যে তরঙ্গ গোটা দেশকে উদ্বেলিত করে ছিল, তার ছিটেফোঁটাও নাকি এবার দেখা যাচ্ছে না! সংবাদমাধ্যমের এই ‘আবহাওয়াবাণী’-তেই বেজায় চটেছেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘চুপ চুপ কমল ছাপ’, মধ্যপ্রদেশে আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বললেন, “দেশের প্রতিটি ঘর থেকে তৈরি হচ্ছে মোদি স্রোত।”
তাঁর বক্তব্য, “পণ্ডিতরা বলছেন, এবার নাকি আর কোনও ঢেউ নেই। এসবই দিল্লির পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে। এবার অতীতের তুলনায় ভোটের শাতংশ অনেক বেশি, তাই তাঁরা আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।”
তাঁর বক্তব্য, “পণ্ডিতরা বলছেন, এবার নাকি আর কোনও ঢেউ নেই। এসবই দিল্লির পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে। এবার অতীতের তুলনায় ভোটের শাতংশ অনেক বেশি, তাই তাঁরা আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।”
তাঁর বক্তব্য, “পণ্ডিতরা বলছেন, এবার নাকি আর কোনও ঢেউ নেই। এসবই দিল্লির পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে। এবার অতীতের তুলনায় ভোটের শাতংশ অনেক বেশি, তাই তাঁরা আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।”
মধ্যপ্রদেশে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, দেশের নতুন ভোটাররা, মা ও বোনেরা নিজেদের মতি স্থির করে ফেলেছে। তারা স্থিতিশীল সরকার চায় এবং নরেন্দ্র মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়। তাঁর বক্তব্য, “পণ্ডিতরা দুটি বিষয় নিয়ে একেবারেই সচেতন নয়। আমার যুব বন্ধুরা, যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছে এবং মা ও বোনেরা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড সুনিশ্চিত করা ভাইকেই ভোট দেবে বলে মনস্থির করেছে। ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীকেই ভোট দেবে মা ও বোনেরা। পণ্ডিতরা বুঝতেই পারেনি, দেশের প্রতিটি ঘর থেকে লহর তৈরি হচ্ছে।”
মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী সভা থেকেই কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতার ‘হুয়া তো হুয়া’ (হয়েছে তো হয়েছে) বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন নমো। টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়েও ফের একবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ছাড়েননি কংগ্রেস পরিবারকেও।
মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী সভা থেকেই কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতার ‘হুয়া তো হুয়া’ (হয়েছে তো হয়েছে) বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন নমো। টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়েও ফের একবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ছাড়েননি কংগ্রেস পরিবারকেও।
“নেহেরু, গাঁধীরা যুদ্ধবিমানকে পিকনিকের জন্য ব্যবহার করেছে। কংগ্রেস বলবে হুয়া তো হুয়া”।
“নক্সালদের হাতে দেশের জওয়ানরা মরছে, কংগ্রেস বলবে হুয়া তো হুয়া”।
“হুয়া তো হুয়া-এই মন্তব্যের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কংগ্রেসের ঔদ্ধত্য। মহাগটবন্ধনের নেতারাও এতে সামিল হয়েছে। মানুষ এবার বলছে, অনেক হয়েছে।”
মধ্যপ্রদেশের নব নির্বাচিত কংগ্রেস সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকেও এদিন একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কৃষকের স্বার্থে কাজ করছে না মধ্যপ্রদেশ সরকার। জনতাকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে মোদি বলেন, “কংগ্রেস সরকার ঈশ্বরের সঙ্গেও বেইমানি করেছে।”
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে ৮টি লোকসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে। তার মধ্যে রয়েছে ভোপালের মতো নজরকাড়া আসনও। যেখানে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ । বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে ৮টি লোকসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে। তার মধ্যে রয়েছে ভোপালের মতো নজরকাড়া আসনও। যেখানে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ । বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে।
Background
হিমাচল প্রদেশের সোলানে নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, অতীতের কংগ্রেস সরকার প্রতিরক্ষা চুক্তিকে এটিএমের মতো ব্যবহার করছে। তাঁর দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর উন্নয়েনর ধারাকে ইউপিএ সরকার ধরে রাখলে এখন দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও শিখরে থাকত। এতদিন ভারত আধুনিক অস্ত্রশক্তির জন্য বিদেশের ওপরই নির্ভরশীল হয়েছে। ৭০ শতাংশই আসত বিদেশ থেকে। আর এভাবেই কংগ্রেস প্রতিরক্ষা চুক্তিকে এটিএমের মতো ব্যবহার করেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -